অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিচার হবে নিজস্ব ট্রাইব্যুনালে : যুবলীগ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

মঙ্গলবার যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো সংগঠনের নিজস্ব ট্রাইবুনালের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় কোনো নেতা বা কোনো শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে চেয়ারম্যানের ঠিকানায় লিখিত অভিযোগ পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনার বরাত দিয়ে আওয়ামী যুবলীগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। আওয়ামী যুবলীগ এসব সমালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব তথ্য ও বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চায় যুবলীগ। সংগঠনের ভেতর কেউ যেন নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ না করে সেজন্য শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে চলে এ সংগঠন। এজন্য আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালে যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করা হয়। দোষী নেতা-কর্মী তিনি যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

ওমর ফারুক চৌধুরী বিবৃতীতে আরও বলেন, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুবলীগের কোনো নেতা বা শাখার (যে পর্যায়েরই হোক না কেন) বিরুদ্ধে ন্যূনতম অভিযোগেরও যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তি ও কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া যদি এই অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পরে, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগটি পাঠানো হবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওই থানাকে অনুরোধ করবে।

এছাড়া যুবলীগের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষতায়ন’ এর আলোকে পরিচালিত একটি সংগঠন। এই সংগঠন যুবমানস গঠন করতে চায়।

উল্লেখ্য, গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগের কতিপয় নেতার কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর যুবলীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা শোভন-রাব্বানীর (ছাত্রলীগ থেকে অপসারিত দুই শীর্ষ নেতা) চেয়েও খারাপ।

এরপরই যুবলীগের চেয়ারম্যান সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার হন। তিনি নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরণের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হুশিয়ার করেন।