আগামী ৯-৩১ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৩৮ পিএম, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। যেসব জেলার নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় সেখানকার জেলেদের আমরা খাদ্য সহায়তা দেব।

তিনি বলেন, এ সময়টায় মা ইলিশ ডিম পাড়ে। যদিও সারাবছর ডিম পাড়ে তবে এসময়ে ডিম পাড়ে ৮০ শতাংশ ইলিশ। আর এই ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায় সেখানে মাছধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুটি বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ইলিশ নিষিদ্ধের সময় যে সব জেলার জেলেরা মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল তাদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। এসময়ে মাছ পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এটা তখন বেআইনি হবে।

এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সমুদ্রসীমা থেকে ইলিশ নিয়ে যায় এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে বাইরের কোনো জাহাজ আসতে পারে না। আমাদের কোস্টগার্ড নেভির কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন। তবে আগে আমাদের কিছু জাহাজ অন্যদের জলসীমায় চলে যেত। কারণ তখন আমাদের জলসীমা নির্দিষ্ট ছিল না।

‘আমরাও এতো শক্তিশালী ছিলাম না। এখন আমাদের জরিপ জাহাজসহ অনেক জাহাজ রয়েছে, হেরিকপ্টার রয়েছে, রাডার রয়েছে- এগুলো আমরা সব সময় ব্যবহার করি। আর সীমানা তো দেয়াল তোলে না। তাই দু’এক মাইল এদিক-সেদিক হতে পারে। আমাদের দেশে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে তখন কোনো মাছ ধরা ট্রলার আমাদের দেশে ঢুকতে পারে না বলে তিনি যোগ করেন।’

আশরাফ আলী খান বলেন, আমাদের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এর ফলে আমাদের মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল সেটা কমেছে। ইলিশ মাছে হাট-বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সমুদ্রসহ নদীর মোহনাগুলোতে মাছের বিচরণ বেড়েছে।