ধূমপানের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বললে সময় বেশি দেওয়া হবে

প্রকাশিত: ২:৪৭ পিএম, জানুয়ারী ৩১, ২০২৩
  • শেয়ার করুন

সংসদ চলাকালীন কোনো সদস্য ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিতে চাইলে নির্ধারিত সময় বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশে ধূমপান থাকতে পারে না।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামসুল হক টুকু বলেন, ধূমপানের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বললে সময় বেশি দেওয়া হবে। যেকোনো সংসদ সদস্য যদি ধূমপান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কথা বলতে চান, তাহলে আমি প্রত্যেককে দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। কেউ যদি আরও তথ্য উপাত্ত নিয়ে বাড়িয়ে বলতে চায় তাকে আরও এক-দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। তবে সচেতনতামূলক বক্তব্য হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে ধূমপায়ী অধূমপায়ীদের যুদ্ধ চলছে। যখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছি, তখন তামাক প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে। তারা এখন সমাজে ই-সিগারেট ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশে ধূমপায়ীদের দৌরাত্ম্যে ভবিষ্যৎ খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এজন্যই ধূমপানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

টুকু বলেন, দেশে ধূমপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবীদের মধ্যে। এর থেকে যতই উপরে যাবেন, সেটা কমতে থাকবে। এজন্য শ্রমজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটা টার্গেট দিয়েছেন, ৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, ধূমপান নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র আইন করে কিছু হবে না। একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট নয়। এজন্য ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে। কিছু কিছু সামাজিক সংগঠন কাজ করছে।