আগস্ট মাস এলেই বাঙালির হৃদয় ভারাক্রান্ত হয় : এমপি কাজী নাবিল

প্রকাশিত: ১০:২২ পিএম, আগস্ট ৩০, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘আগস্ট মাস এলেই বাঙালির হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি চক্রান্তে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের হারিয়েছি। এই মাসেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়; যেখানে আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিহত হন।’

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকালে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা শহীদ চত্বরে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্টের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার নায়কদের ফাঁসির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এসময় কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কেবল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মদতদাতাই নন, তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের বাইরে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃতও করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশ্রয় এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার রহিত করে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন, তারা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

কাজী নাবিল আরও বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি; না জানি আবার কোন ষড়যন্ত্র হয়। কেননা, এই মাসের ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া তার জন্মদিন পালন করেন। তার সার্টিফিকেট, বিয়েসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে দেশবাসী তার একাধিক জন্মদিন দেখেছেন।’

এছাড়াও যশোর সদর আসনের এমপি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে গুছিয়ে তাকে সোনার বাংলা করার দৃঢ় পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধু যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখতে চেয়েছিল। কিন্তু জননত্রেী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করেছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই আমরা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। আর ২০৪১ সালে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রকাশিত হবে।’

এদিকে সভায় যশোর এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন–জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সুখেন মজুমদার, মোকাররম হোসেন টিপু, ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ মেহেদি হাসান, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা শান্ত দে, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কায়েস আহমেদ রিমু, রিফাতুজ্জামান রিফাত প্রমুখ।