ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, আগস্ট ১৯, ২০২২
  • শেয়ার করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।

ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারো এমন কিছু করা উচিত হবে না, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে এমন কোনো উসকানি দেওয়া ঠিক হবে না, যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশী দেশে কয়েকটি মসজিদ পোড়ানো হয়েছে। সেটি দেশে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। এর কারণ হচ্ছে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু জঙ্গি লোক আছে, যারা এটার বাহানায় আরও অপকর্ম করবে।

‘কিছুদিন আগে একজন ভদ্রমহিলা একটি কথা বলেছিলেন, আমরা একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা একটি কথাও বলিনি। এ ধরনের প্রটেকশনও আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বছরে ২৮ লাখ মানুষ ভারতে বেড়াতে যায়। কয়েক লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে।’

চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের যোগ দেওয়ার প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে ‘বিক্ষুব্ধ সনাতনী সমাজ’ নামের একটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অনেকের হাতে ছিল কালো পতাকা, কারও কারও মুখ ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, সাধারণ সম্পাদক অশোক দেব, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রামের আহ্বায়ক যীশু রক্ষিত।

সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় থেকে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। উল্লেখ্য, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে গত জুন মাস থেকে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।