প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বায়স্তবায়নে দেশে ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি হচ্ছেঃ জাহিদ ফারুক

প্রকাশিত: ৭:১১ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের একটা চিন্তা হলো তারা সরাসরি কাজ চায়। কিন্তু কাজের জন্য তাদের যে প্রস্তুতির দরকার সেই চিন্তা তারা করে না। তারা মনে করে তাদের কোথাও বসিয়ে দিলে কাজ শিখে নেবে অর্থাৎ তারা শর্টকাট লাইফ চায়। কিন্তু লাইফে শর্টকাট বলে কিছু নেই। লাইফে যদি বড় হতে হয় তাহলে নিজের ভিতটাকে মজবুত করতে হবে।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) ২৭৫তম ব্যাচের প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ ও ২৭৬তম কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েও আমার মন্ত্রণালয়ে ছেলেদের চাকরি দিতে পারি না। কারণ তারা সেটার জন্য যোগ্য না, তাহলে আমি কীভাবে চাকরি দেবো। আবার আমার যদি নিজস্ব ফার্ম বা কোম্পানি বা গার্মেন্টস থাকতো সেখানেও চাকরি দিতে গেলে আমি যোগ্যতার বিষয়েই গুরুত্ব দিতাম। কারণ যে মেশিনটা চালাতে পারবে না, তাকে সেই চাকরি কখনোই দেবো না। সুতরাং এ সোজা জিনিসটা সবাইকে বুঝতে হবে ও অনুধাবন করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বায়স্তবায়নের লক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি হচ্ছে। আমাদের স্বপ্ন, আশা, ইচ্ছা সেখানে এসে বিদেশিরা ইন্ডাস্ট্রি করবে এবং যেখানে আমাদের লোকজন চাকরি নেবে। তবে এটা পরিষ্কার যে শিল্প কারখানায় চাকরি নিতে হলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে অনেক গার্মেন্টস, কম্পোজিট ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে বড় বড় পদে বিদেশিরা চাকরি করে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের সেখানে চাকরি দেওয়া হয় না, কারণ সে যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরি দিতে চান।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বেতন বেশি। তারা বেতন বেশি দিলেও কাজ ১৬ আনাই আদায় করে নেয়। আমাদের দেশের মতো আট ঘণ্টার স্থলে ছয় ঘণ্টা কাজ করে আর বাকি দুই ঘণ্টা গল্প ও লাঞ্চ করে সময় কাটানো যাবে না। আপনারা ভালো কাজ করলে বিদেশে আরও লোক যেতে পারবে, খারাপ কাজ করলে এটা সম্ভব হবে না।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টিটিসির অধ্যক্ষ মো. গোলাম কবির, মহিলা টিটিসির অধ্যক্ষ আলী আহম্মেদ ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে টিটিসির কারিগরি কোর্স সম্পন্ন করা ২৭৫তম ব্যাচের বিদেশগমনেচ্ছু পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে প্রতিমন্ত্রী টিটিসি ও মহিলা টিটিসির সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।