সরকার ব্যাপক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেঃ শ্রম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, নভেম্বর ৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যা কাজের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওকে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় আইএলওয়ের ৩৪০তম গভর্নিং বডির ভার্চ্যুয়াল সভায় কোভিড-১৯ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সেশনে আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

করোনাকালীন এ অবস্থা থেকে সারা বিশ্বে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমজীবী মানুষ এবং অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় চারটি বিষয় তুলে ধরেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড-বায়ারদের নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) কাজ করতে হবে। তুলনামূলকভাবে দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে বাজারে প্রবেশ অগ্রাধিকার দিতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি ধরে রাখতে আইএলওকে কাজ করতে হবে এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইএলওয়ের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ঘোষণাপত্র উপলব্ধি করে জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ভবিষ্যতে শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চতে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।

করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেছেন। সরকার পুনরুদ্ধার প্যাকেজ হিসেবে ১৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। পোশাক শ্রমিকদের বেতনের জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন অংশীদাররাও আমাদের প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে বলে জানান।

তিনি বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলওয়ের সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সংকট নিরীক্ষণের জন্য ২৩টি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে আইএলওতে যোগদান এবং একদিনেই ২৯টি আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের বিষয়টি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি সবাইকে নিয়ে শ্রম অধিকার সুনিশ্চিত করা এবং কোভিডমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ভার্চ্যুয়াল সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাস্থ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় স্থায়ী মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।