এমপি রতন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব দুদকে তলব

প্রকাশিত: ৯:২৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
  • শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার স্ত্রী তানভী ঝুমুরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) মহাব্যবস্থাপকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় নথিপত্র পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী স্বাক্ষরিত চিঠিতে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৩২৭৯৬৮৩৬৭৬) ও তার স্ত্রী মাহমুদা হোসেন লতার (পরিচয়পত্র নম্বর-১৯৭৯৩২৭৯৬৭৫১১৪) নাম উল্লেখ করে তাদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি দাবি করেন, ‘একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করছে। আমি নিজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। আমি আওয়ামী লীগের ৩০টি অফিস করে দিয়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।’

কানাডায় বাড়ি আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। বিদেশে আমার কোনো বাড়ি নেই।’

অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার জিকে শামীমসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

এর আগে ২৪ অক্টোবর দুদক থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ এবং দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার বিষয়ে বলা হয়।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২১টি মামলা করেছে দুদক।