প্রশিক্ষণ বা প্রকল্প উন্নয়নের নামে কর্মকর্তাদের বিলাসী বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করতে হবে

প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

প্রশিক্ষণ বা প্রকল্প উন্নয়নের নামে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিলাসী বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘বিদেশ ভ্রমণের যে রেওয়াজ আছে তা ভেঙ্গে যুক্তিসঙ্গত করা সময়ের দাবি। চাইলেই ভ্রমণের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করার মানে হয় না’।

‘সম্প্রতি খিচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে যাচ্ছেন হাজার কর্মকর্তা’ শিরোনামে যে খবর বেরিয়েছে সে প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে।

তিনি বলেন, ‘খিচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ ভ্রমণের যে খবর প্রচার পাচ্ছে তা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ব্যাখ্যা করেছেন। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না’।

তবে আমি মনে করি যে, কোনো অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কর্মকর্তাদের বন্ধ করতে হবে। এতে রাষ্ট্রের মঙ্গল হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এভাবে বিলাসী ভ্রমণ হতে পারে না।

সম্প্রতি আমার মন্ত্রণালয়ে একটি প্রজেক্টের জন্য ফাইল তৈরি করা হয়। আমি দেখলাম, এর মধ্যে ২৫ জন কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু বিলাসীতার জন্য তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাম বাতিল করেছি। এটিই করতে হবে। রাষ্ট্রের টাকা এভাবে অপচয় হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ভ্রমণ জরুরি হয়ে পড়ে। উন্নত বিশ্বেও এমন ভ্রমণের রেওয়াজ আছে। প্রজেক্টভিত্তিক প্রশিক্ষণ জরুরি হয়। কিন্ত মিডিয়া অনেক সময় প্রকৃত কারণ উল্লেখ না করে গড়পড়তায় নিউজ করে। এতে সত্যের সঙ্গে মিথ্যা আশ্রিত হয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল পড়ে যায়। সত্য প্রকাশ পেলে সাবধান হওয়ার সুযোগ মেলে। ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়’।

কর্মকর্তাদের অযাচিত বিদেশ ভ্রমণের যে রেওয়াজ তাতে পরিবর্তন আনা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ওপর। আমি এমন ভ্রমণ বন্ধ করছি। যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দরকার সেখানে মন্ত্রী, সচিব, ডিজি যাবে কেন? আমি মন্ত্রীদেরেও সৌখিন ভ্রমণ বাতিলের পক্ষে’।

করোনাকালে রাষ্ট্রীয় খরচ অপচয় বন্ধে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। জনকল্যাণে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার সময় এখন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, তা সবার জন্য অনুসরণীয়। বিদেশ ভ্রমণের বাধ্যবাধকতার কোনো আইন নেই। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই ভ্রমণ বাতিল করে দিতে পারেন’।