আমাকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়েছেঃ শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৭:৪৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় ২০ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় আমার কাছ থেকে তদন্ত কর্মকর্তা যে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন তার সঙ্গে চার্জশিটের কোনো মিল নেই। আজ মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছি আদালতে। আদালত তা গ্রহণ করে পিপিকে পিটিশন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহার প্রত্যাখ্যান করে সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বের হওয়ার পর প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে শামীম ওসমানের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা।

এদিকে প্রেস বিফ্রিংয়ে শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘আমি চাই না এ মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পাক। যারা এ ঘটনায় জড়িত তারাই শুধু শাস্তি পাক। সেই সঙ্গে যাদের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা চালিয়েছে তাদের যেন বিচার হয়। শহরের মিশনপাড়ার ওবায়দুর রহমান নামের এক ব্যক্তি; যার কোলে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছি সেই ওবায়দুর রহমান ওই দিন আমার কাছ থেকে একটি কাগজে সই নেয়ার জন্য এসেছিল। সই দেইনি বলে টেবিলে থাপ্পড় মেরে চিৎকার করে হুমকি দিয়ে চলে যায় ওবায়দুর। এর পরই আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটল। আমাকে টার্গেট করে চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে এক মামলায় এমপি শামীম ওসমান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া শহীদ মিনারসংলগ্ন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন শামীম ওসমান।