প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে: শরীফ আহমেদ

প্রকাশিত: ৭:১৫ পিএম, আগস্ট ১৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন উপযোগী শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই দর্শন ও আদর্শকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে। দেশ গঠনের কাজে আমাদের সবার সহযোগিতা করা দরকার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন ভবনের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাবার দেখানো সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়তে চেষ্টা চালাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়নে সবার আন্তরিক সহযোগিতা দরকার।

কউকের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশনায়ক হিসবে যেমন সফল, তেমনি সফল রাজনীতিবিদ হিসেবেও। মাত্র তিন বছরের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সব সড়ক ও স্থাপনা বঙ্গবন্ধু পুনরায় নির্মাণ করেছিলেন। অথচ আমরা পাঁচ বছরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ করতে পারি না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঘাতকরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার করা হলে এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম চিহ্ন মুছে যাবে। এ কারণে সেদিন ঘাতকরা শিশু শেখ রাসেলকেও বাঁচতে দেয়নি। খুনিরা ভুলে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম; বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- এমপি জাফর আলম, এমপি আশেকুল্লাহ রফিক, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও মহিলা এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, সাবেক এমপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুধী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান মোল্লাহ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী।