প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় করোনা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, মে ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় করোনা সংকট কাটিয়ে ওঠার আশা ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি বলেন, সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যদি এ আপদকালীন সময় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সেবামূলক কাজ করে তাহলে আমরা দ্রুতই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় করোনা মহামারির এ ধকল কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।

শনিবার (২৩ মে) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও এর নিবন্ধিত এবং তালিকাভূক্ত যুব সংগঠন সমূহের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শুরু করে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক সকলের জন্যই বিশেষ প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও তিনি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কোটি কোটি পরিবারকে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন এবং প্রতিদিনই এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত মাঠ প্রশাসনসহ সকল দপ্তর সংস্থার কার্যক্রম নিজেই তদারকি করছেন। যা এ ঘোর দুর্যোগেও আমাদের মনোবলকে চাঙা রাখছে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, অধিদপ্তরের নিবন্ধিত ও তালিকাভুক্ত যুব সংগঠন সমূহ করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এ ধরণের সেবামূলক কাজ করে আসছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও এর নিবন্ধিত ও তালিকাভূক্ত যুব সংগঠন এক সঙ্গে মিলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যারা কারও নিকট হাত পাততে পারছেন না তাদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছে।

ঢাকা মহানগরীর ইউনিট থানাসমূহ থেকে যুব সংগঠনের সদস্যবৃন্দ বিপদগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করেছেন। সেই তালিকা অনুসারে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্পটে ১১০০ পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ১০টি পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট সামগ্রী যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্ব-স্ব এলাকায় তালিকাভুক্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন।

ঈদ সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে আছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু , ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল , ১ কেজি পোলাওয়ের চাল, ১ প্যাকেট সেমাই, ২৫০ গ্রামের ১ প্যাকেট গুড়ো দুধ , আধা কেজি লবণ, ১ টি সাবান ও ১টি মাস্ক।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।