ছুটির মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে কাজ চালিয়ে যাবার নির্দেশ উপমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ৮:১৬ পিএম, মে ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

ছুটির মধ্যেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে কাজ চালিয়ে যাবার নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

শনিবার (২৩ মে) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ার নদীতীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চারটি এলাকায় শুক্রবার (২২ মে) থেকেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। আমরা আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছিলাম। এখনো তারা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। নড়িয়াও একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানেও কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। ঈদের বন্ধেও আমরা সতর্ক থাকবো।

এসময় চিফ ইঞ্জিনিয়ার (বাপাউবো) তোফায়েল আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হেকিম, খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতিনিধি ও বেঙ্গল গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সক্ষমতা বাড়ার কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ কি.মি. বাঁধ রয়েছে যার প্রায় ছয় হাজার কি.মি. বাঁধ উপকূলাঞ্চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরান সব বাঁধ আমরা সুপার ডাইকে পরিণত করছি। আমাদের ১৩৯টি পোল্ডারের মধ্যে ১০ পোল্ডারে প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। আরো ছয়টি প্রকল্প একনেকে যাবে।

শ্রমিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের মধ্যেও আমরা ১৯ এপ্রিল থেকে প্রায় ১৫০০-১৭০০ শ্রমিক দিয়ে নড়িয়াতে প্রকল্প কর্মকাণ্ড চালু রেখেছি। বন্যা-বর্ষার হাত থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য নড়িয়ার মতোই সারাদেশে করোনা সঙ্কটের মধ্যেও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

পরে উপমন্ত্রী নড়িয়ার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারের পক্ষে ২০টি মসজিদ-কবরস্থানে প্রায় ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করেন এবং নড়িয়া শহীদ মিনার চত্বরে নড়িয়া উপজেলার প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে ঈদ উপহার (খাদ্যসামগ্রী) বিতরণ করেন।