করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের শারীরিক অবস্থা ভালো। তিনি আগের চেয়ে সুস্থ অনুভব করছেন।
সোমবার (০৪ মে) সন্ধ্যায় শহীদুজ্জামানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই ফোনে কয়েকবার করে কথা হচ্ছে শহীদুজ্জামান সরকারের সঙ্গে। সোমবার কথা বলার সময় আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ অনুভব করছেন বলেই জানিয়েছেন শহীদুজ্জামান। দু’দিন ধরে শরীরে জ্বর নেই, কাশি বা গলা ব্যাথা নেই। খাবারের রুচিও ফিরেছে।
শহীদুজ্জামান এমপির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভালো আছেন। কারও শরীরে এখন পর্যন্ত অসুস্থতার কোন উপসর্গ দেখা যায় নি। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণ, দলীয় নেতা কর্মী ও দেশবাসীর কাছে রোগ মুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এদিকে শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে শহীদুজ্জামান সরকার ন্যাম ভবনে (সাংসদের বাসভবন) সুরক্ষা নিয়ম মেনে অবস্থান করছেন। তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন, খাওয়া ও বিশ্রাম নিচ্ছেন।
এর আগে ২৮ মার্চ নির্বাচনী এলাকা নওগাঁ থেকে ঢাকায় ফিরে তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে ১ মে আইইডিসিআর তিনি করোনা আক্তান্ত বলে নিশ্চিত করে।
আক্রান্ত এমপি শহীদুজ্জামান সরকার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর সংস্পর্শে আসা আরও দুই সংসদ সদস্যসহ ৬ ভিআইপি ও মোট ৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভিআইপি ৬ জন হলেন, নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও সিভিল সার্জন আখতারুজ্জমান। তাঁরা প্রত্যেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এছাড়াও এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের নির্বাচনী এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, সরকারী বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীসহ বেশ কয়েকজন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। পর্যায়ক্রমে তাদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
