আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবেঃ মুহাম্মদ ফারুক

প্রকাশিত: ৯:৫০ পিএম, মার্চ ৩১, ২০২০
  • শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের জনগণ এবং উপজেলা প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।

তিনি বলেন, আমার এলাকার কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। আমরা প্রত্যেকের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। সরকার এবং আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গোপালগঞ্জ-১ আসন কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পিপিই ও মাস্ক দেন তিনি। জনগণের মাঝে মাস্ক ও জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন ফারুক খান।

তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে চিকিৎসককে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের সঙ্গে দিনে একাধিকবার যেন চিকিৎসকরা যোগাযোগ করেন সে নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য তিনি কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন, যা গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলার ৩৩০০ পরিবারকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কাশিয়ানি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ২১০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রতিদিন একাধিকার ফোন করে করোনা পরিস্থিতি, খাদ্য বিতরণের খোঁজখবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা আলী বলেন, করোনা চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি আমরা, যা চিকিৎসক, নার্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের দেয়া হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার চার হাজার ১৭০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। উপজেলায় ১২২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এর মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এলাকায় করোনা রোগীর খবর পাওয়া যায়নি। করোনা মোকাবিলার সার্বিক পরিস্থিতি গোপালগঞ্জ-১ আসনের এমপি পর্যবেক্ষণ করছেন। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি।