প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হবেঃ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:১১ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর কলেজের একাডেমি ভবনের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ডা. দিপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চাই না, তাই এত অনার্স ডিগ্রির দরকার নাই। অনার্স ডিগ্রি সবার জন্য না। যারা বিশেষ কিছু নিয়ে গবেষণা করবেন তারা কেবল অনার্স ডিগ্রির উপর জোর দেবেন। আমরা চাই বাংলাদেশের এই বিশাল যুব-শক্তিকে জনশক্তিতে পরিণত করতে। তাই আমরা এখন কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছি। কারণ বর্তমান সময়ে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। তাই আমরা প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা উদ্যোক্তা হবে। তারা নিজেরা শুধু চাকরি করবে না, হাজার হাজার লোককে তারা চাকরি করার সুযোগ করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারের অজ্ঞতা ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা অনগ্রসর দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। যারা এক সময় বাংলাদেশকে উপহাস করতো, তারাই এখন আমাদের প্রশংসা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে সাজাতে কাজ করছিলেন, তখনি স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাকে হ-ত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানো।

এ সময় দেশের অগ্রগতির স্বার্থে নৌকা প্রতীকের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল হাই চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী।

এর আগে ডা. দীপু মনি দিনারপুর কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা ও সুধী সমাবেশের শুরুতেই মন্ত্রীসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দকে উত্তরীয় পড়ানো হয়। পরে শিক্ষামন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা, বৃক্ষ উপহার ও নিজের হাতে আঁকা ছবি তুলে দেয় কলেজের এক শিক্ষার্থী।