বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’ সংসদে মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ৯:৪৯ পিএম, জানুয়ারী ২৮, ২০২০
  • শেয়ার করুন

মুজিববর্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সংবিধানকে বেয়নটের খোঁচায় ক্ষতবিক্ষত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনা হয়। বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’। এ দলটি গঠন করে জিয়া পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল, তারা পরাজিত দেশটির সঙ্গেই আছে। দেশকে পাকিস্তানের পথেই নিয়ে যাবেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী একথা বলেন।

অধিবেশনে প্রথমে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, একজন ডাক্তার ভুল করলে একজন রোগী মারা যান, কিন্তু কোনো নেতা ভুল করলে সেই দলটি ছত্রখান হয়ে যায়। খালেদা জিয়া অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই তার দলের মধ্যে সেই কাজটি করেছেন। তাই বিএনপিকে বলবো- গণতন্ত্রের চর্চা করুন, ষড়যন্ত্র বাদ দেন। অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে আসুন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্যাসিনো নিয়ে কথা বলে, কিন্তু ক্যাসিনোর প্রতিষ্ঠাতাই হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। জাতির পিতা দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ বলে সেই মদ-জুয়া ও লাকি খানের ঝাঁকি নৃত্যর প্রথম লাইসেন্স দেন এই জিয়াউর রহমান। আর তার পুত্র লন্ডনে পলাতক থাকা তারেক রহমানও তার আয়ের উৎস হিসেবে ক্যাসিনো থেকে আয় দেখিয়েছে।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ও খোয়াব ভবন খুলে তারেক রহমান কী করেছে তা দেশের মানুষ জানে। বিদ্যুৎ নেই, অথচ খাম্বা বাণিজ্য করেছে। আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে? ২১ আগস্ট গ্রে -নেড হামলা করে আইভী রহমানসহ ২১ জনকে হ -ত্যা করা হলো। এটা কার নির্দেশে করা হয়েছে তাও আদালতে প্রমাণ হয়েছে। যেমন বাবা-মা, তেমনি ছেলে (তারেক রহমান)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের মানুষ কিছু পায়। ৯৯-২০০০ সালেই বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

মতিয়া বলেন, বিএনপির অনেক নেতা এখনও পাকিস্তানের জন্য মায়াকান্না করেন, কিন্তু পাকিস্তানের সংসদে বলা হয়- ‘হামকো বাংলাদেশ বানাদো’। তাই এখনও সময় আছে বিএনপির উচিত অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে আসা, ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে দেওয়া। বিএনপিকে বলবো- গণতন্ত্রের চর্চা করেন, ষড়যন্ত্র বাদ দেন।