যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে ৪০টি রেল ইঞ্জিন

প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, জানুয়ারী ২২, ২০২০
  • শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে ৪০টি রেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ বা লোকো)। নতুন এসব লোকো ডিজেল ছাড়াও গ্যাস দিয়ে চালানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

নতুন প্রযুক্তির লোকোগুলো তৈরির কাজ পরিদর্শন করতে রেলমন্ত্রী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সফরের অংশ হিসেবে গত ১৪ জানুয়ারি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে শিকাগো সিটি সংলগ্ন এলাকায় প্রগ্রেস রেল কারখানা পরিদর্শন এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নত প্রযুক্তির ৪০টি লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) বাংলাদেশে সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আলোচনা করেন তিনি। আগামী বছর ২০২১ সালের মার্চ থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এগুলো বাংলাদেশকে সরবরাহের কথা রয়েছে।

গত রবিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জামাইকায় একটি পার্টিহলে নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।

চুক্তি অনুযায়ী এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকায় ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব ইঞ্জিন সরবরাহ করবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি লোকোমোটিভের মূল্য পড়ছে ২৮ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। ১৯৫৩ সালে তৎকালীন রেলওয়ে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু মিটারগেজ ট্রেন সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার কয়েকটি বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে এখনো চলছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০টি লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) আমদানি করছি। এ লোকোমোটিভগুলো ডিজেল ও গ্যাস দুই প্রকার জ্বালানিতেই চালানো সম্ভবপর। যদি গ্যাস দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যায় তাহলে বিদ্যুৎ দিয়ে চালানোর দরকার নেই। ইলেকট্রিকের চেয়ে গ্যাসে চালালে বেশি অর্থ সাশ্রয় হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বর্তমানে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মতো বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব কয়টি কাজ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে রেলওয়েতে আমূল-পরিবর্তন আসবে। এছাড়া রেলওয়ে বর্তমান পরিবহণ চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নতুন রেললাইন নির্মাণ, পুরাতন রেললাইন পুনর্বাসন, মিটারগেজ লাইন ডুয়েল গেজ রূপান্তর লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ওয়াগন বানানো, সংগ্রহ ও পুনর্বাসন, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ট্রেন সার্ভিস চালুসহ বেশকিছু সাফল্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক অধিকতর জনসেবা হিসাবে গড়ে তুলেছে।

ট্রেন সঠিক সময়ে না চলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গেল লাইনেই চলে অধিকাংশ ট্রেন। যে কারণে একটি ট্রেন অন্য ট্রেনকে সাইড দিতে সময় বেশি লাগছে। তবে বিভিন্ন রুটে ডাবল লাইন হচ্ছে। এতে আগামীতে রেলে যাতায়াতে সময়ক্ষেপণ কমবে।