‘হতাশ হওয়া চলবে না, দলকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে’

প্রকাশিত: ৭:৪৭ পিএম, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

আমাদের হতাশ হওয়া চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরামের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থায় আমাদের হাঁটতে হচ্ছে। একটা শিশু যখন হাটা শেখে তখন বারবার পড়ে যায়। তারপরও আবার হাঁটতে থাকে। আমাদেরও তেমনি করতে হবে। হতাশ হওয়া চলবে না। আমাদের দলকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরপরই পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, সরকার বারবার বলে বেড়াচ্ছে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিবীদরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে। সকল স্বৈরাচারী সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য এরকম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দেশ নয়, সারাবিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সারাবিশ্বে একটি কতৃত্ববাদী শাসন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমাদের আরো সমৃদ্ধ হতে হবে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুব কষ্টে আছেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। আমি নিজে তাকে দেখে এসেছি। তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, হাঁটতে পারেন না।

দলকে শক্তিশালী করে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম ওইদিন সফল হবে যেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দী কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন, দেশনেতা তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনার আক্রোশ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মৃত্যুর পথে পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্যই এ অনির্বাচিত সরকার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বন্ধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটকে রেখেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ২৯শে ডিসেম্বর রাতে। সকল ডিসি ও ইউএনও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের আগের রাতেই ব্যালোট পেপার দিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা বাংলাদেশের সকল জনগণ জানেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানেন না।

২৯শে তারিখের ভুয়া নির্বাচনে কিরকম ভোট হয়েছে তা এদেশের শিক্ষক সমাজ জানেন। তারা কিভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন তা জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, সংসদে এখন আর জনগণের কথা বলা হয় না। এই অনির্বাচিত সরকার জনগণের ভোটের অধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে রাজপথে আন্দোলন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সরুজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।