অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে বাঁশের লাঠি হাতে পাহারা দিতে হবে : আব্দুর রহমান

প্রকাশিত: ৮:৪৮ পিএম, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভার রাজনীতিতে যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন তাকে স্পর্শ করার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তির উত্থান বাংলাদেশে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে। অনুপ্রবেশকারী, টেন্ডারবাজ ও চাঁদাবাজদের দলে জায়গা হবে না। দলে যেন কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাঁশের লাঠি হাতে পাহারা দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ক্ষমতার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কখনো আপস করেননি উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, ২০০১ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্যাস চেয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেছিলেন দেশে ৫০ বছরের গ্যাস মজুত থাকলে তখন কেবল রফতানির চিন্তা করা হবে। তার আগে গ্যাসের পাইপ দিয়ে আমাদের রক্ত যাবে, তবু গ্যাস যাবে না।

এদিকে মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সুবিধালোভীরা যেন আওয়ামী লীগের সুসময়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।

১৯৭৪ সালে দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সাহায্য চেয়েছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন সাহায্য করতে পারি, বিনিময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আমাকে সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি করতে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া দেশের এককণা মাটি দিয়েও কারও সঙ্গে আপস করেননি।

আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে বেগম খালেদা জিয়া পতাকা উঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পতাকা নামিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হত্যা করেছিল খুনিরা। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

আব্দুর রহমান বলেন, সেদিন ঘাতকরা বলেছিল এদেশে কোনো দিন শেখ মুজিবের নাম এবং জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারিত হবে না। কিন্তু সাতক্ষীরা এসে দেখলাম জয় বাংলা স্লোগান আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়ায়।