প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে শিগগিরই নির্মাণ হবে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ : তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশিত: ৮:২৬ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে খুব শিগগিরই আমরা ভোলা-বরিশাল ব্রিজ দেখতে পাব। তখন আর ভোলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থাকবে না। মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজ হলে চট্টগ্রাম থেকে পায়রা ও মোংলা বন্দর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসকের হল রুমে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ প্রস্তাবনার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলা-বরিশাল ব্রিজ হলে ভোলা হবে একটি শিল্পায়নের জায়গা। এখানে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। এখানে গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এক কথায় ভোলা হবে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী জেলা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর তার দুই কন্যা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। আমরা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সকল বিচার শেষ করে দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।

সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ভোলা-বরিশাল ব্রিজের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে। তারপর আমরা সেটি পর্যালোচনা করে দেখবো। ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জার্মানি ও চায়নাসহ বেশ কয়েকটি দেশের কোম্পানি আবেদন জমা দিয়েছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ (লালামোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাহাবুদ্দিন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার প্রমুখ।