গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে : কাদের

প্রকাশিত: ৭:২৪ পিএম, নভেম্বর ২২, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিতর্কিতদের প্রার্থী হয়ে কোনো লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একাধিক প্রার্থী হলে সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে তখন আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। যেদিন সম্মেলন সেদিনই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। এবার আর দেরি করা হবে না। তবে, বিতর্কিত লোককে প্রার্থী করে লাভ হবে না। দল ভারী করার জন্য বিতর্কিতদের প্রার্থী করবেন না। নেত্রীর কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে। কার কী অবস্থা, কী অপকর্ম আছে, সব জানা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে কমিটি দেওয়া হবে। বিতর্কিতদের প্রার্থী হয়ে কোনো লাভ হবে না।

দলের দুই মহানগরের নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সম্মেলনের ফরম্যাট নেত্রীর নির্দেশ মতো আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। সম্মেলনে কে সভাপতিত্ব করবেন, কে স্বাগত বক্তব্য দেবেন সেটা ঠিক করা হয়েছে। কেউ কারও বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রার্থী হতে পারবে, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচার চালাবেন না। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আমরা কেউ অপরিহার্য না। সম্মেলনে একাধিক প্রার্থী থাকলে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করার সুযোগ দেওয়া হবে। একমত হতে না পারলে নেত্রীর পরামর্শ নিয়ে তার নির্দেশে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে কেউ বাদ পড়ে না, নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়। যে অপকর্ম করেছে, সে নেতৃত্ব থেকে বাদ যাবে। যারা ক্লিন ইমেজের তারা তো বাদ যাবে না। রাজনীতিতে ধৈর্যহারা হলে হবে না। ত্যাগস্বীকার করলে আজ হোক কাল হোক আওয়ামী লীগে মূল্যায়ন হবেই।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো দলে যদি অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র থাকে, সেটা আাওয়ামী লীগেই আছে। আমরাই সময় মতো সম্মেলন করি। আজ বিএনপির নেতারা এত বড় বড় কথা বলেন, কই তাদের দলের তো সম্মেলনের কোনো খবর নেই। নিজেদের দলেই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। নিজেদের দলে গণতন্ত্র নেই। তারা আবার দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা আবার দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে।