শুল্ক ফাঁকির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে, হারুনের জামিন বহাল রইলো আপিলে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর হারুন অর রশিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর এ মামলায় হারুন অর রশিদকে ৬ মাসের জামিন দেন বিচারপতি শওকত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২৯ অক্টোবর আপিল করে দুদক। তবে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত সে আপিলের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বুধবার (৩০ অক্টোবর) শুনানির দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।
মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
হারুন অর রশীদ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।