সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেইঃ কামরুল

প্রকাশিত: ৩:১৮ পিএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
  • শেয়ার করুন

সব আলাপ বাদ দিয়ে বিএনপিকে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে ‘বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।

কামরুল বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত আমরা দেখেছি। ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়। আমরা আর এই সরকারে যাব না। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে কোনো সমঝোতা নেই। তাদের বলব, এসব আলাপ বাদ দিয়ে ভালো হয়ে যান। আমি আবারও বলছি, ভালো হয়ে যান।

তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। ক্যান্টনমেন্টে বসেই জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এ দলের জন্ম দেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের ভারতীয় এজেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছে তারা। সব সময়ই ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে এসেছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে, তখনও বিএনপি বলেছে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

তিনি যোগ করেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী এখন সফরে ভারতে। এ নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছে। অথচ দেখেন, ছিটমহল, ফারাক্কাসহ সমস্ত চুক্তিই আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে আমাদের দেওয়া-নেওয়া সম্পর্ক নয়, উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তারা এখনো এসব মিথ্যাচার করছে। তারা এখনো ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সমস্ত দেশগুলো আজ আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। তার একটু ছায়া বাংলাদেশে পড়বেই। তারা সব বিষয় নিয়েই মিথ্যাচার করেছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, বিদ্যুৎ সংকট এগুলো সারা বিশ্বের সমস্যা। এটা একটা সাময়িক পরিস্থিতি। এটা ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে তামাশা করায় বিএনপি সম্মানজনক আসন পায়নি। নির্বাচন বর্জন করে কোনো লাভ নেই। এবার নির্বাচিনে না এলে তারা পালাবার পথ পাবে না। বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।