শেষ বক্তব্য বলে অঝোরে কাঁদলেন আ’লীগের শীর্ষ ৩ নেতা

প্রকাশিত: ৬:৪৭ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সিলেট আওয়ামী লীগের তিন শীর্ষ নেতা। এরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিসিক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

এদিকে তাদের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য দেয়ার ঘণ্টাখানেক পর ঘোষিত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাননি এই তিন নেতা।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আলিয়া মাদরাসা মাঠে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অতীতে নিজের সংসদীয় আসন ছেড়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও নেত্রীর নির্দেশে কাজ করব।’

এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমি এখনো বেঁচে আছি। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে হয়তো এটাই আমার শেষ বক্তব্য।’

এ সময় ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে কামরান কারাগারের স্মৃতিচারণ করে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে অশুভ শক্তি সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মহানগর সভাপতি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি আমার সহকর্মী ইব্রাহিমকে হারিয়েছি। ১৮ মাস জেল খেটেছি। কুমিল্লা কারাগারে থাকা অবস্থায় আমি আমার মাকে হারিয়েছি। দায়িত্ব পালনের সব সফলতা আপনাদের, সব ব্যর্থতা আমি কাঁধে তুলে নিলাম।’

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শূন্য হাতে সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে আজ সবচেয়ে সংগঠিত মহানগর আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে আর দায়িত্ব পাব কি-না জানি না। তবে আমৃত্যু দলের জন্য কাজ কর যাব।’

এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি। বাংলার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তারের স্মৃতির প্রতি।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে। ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেল তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়া হচ্ছে।’