মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বাজারে আসছে ২শ’ টাকা নোট

প্রকাশিত: ৬:৩৫ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
  • শেয়ার করুন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মত আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২শ’ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শনিবার কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পরিচালক ও মূখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতই ২শ’ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত-দুই ধরনের ২শ’ টাকার নোট ছাড়া হবে, তবে ২০২১ সাল থেকে কেবলমাত্র নিয়মিত নোট থাকবে।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১শ’ টাকা মূল্যমানের সোনা ও রূপার স্মারক মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সিরাজুল ইসলাম জানান, ২শ’ টাকার নোটের উপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না।

১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মত ২০০ টাকার নোট চালু হতে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বা’ধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ‘মুজিববর্ষ’ পালনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু করেছে সরকার। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।

উল্লেখ্য, বিশেষ বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ৬ ধরনের স্মারক নোট তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বহরে যুক্ত হচ্ছে ২শ’ টাকার নোট। এছাড়া এই পর্যন্ত ১২ ধরনের স্মারক মুদ্রা ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে লেনদেনের জন্য বিভিন্ন মানের প্রচলিত নোট ও মুদ্রা বাজারে আছে।

স্বা’ধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নোট ছাপা হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুন প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১০ টাকার নোট। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে আসে ১, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। এছাড়া স্বা’ধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে বাজারে ছাড়া হয় ১, ৫, ১০, ২৫, ৫০ পয়সা ও ১, ২, ৫ টাকার কয়েন।