বাংলাদেশ ও মাল্টা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, জুলাই ১৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

মাল্টায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসী হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দিন সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ক্রিস্টোফার কুটাজারের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন।

বুধবার (১৫ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও মাল্টার মধ্যকার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার দেশটির নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিবকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা হস্তান্তর করেন।

হাই কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন ২০১৯ সালে মাল্টায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক গতিময়তা লাভ করে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনার কোভিড-১৯ পরবর্তী অনুকূল পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি দুদেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে আলোচনার জন্য স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য মাল্টার পররাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ জানান।

হাই কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন ব্যবসায়ীদের মধ্যে অচিরেই আলোচনা শুরুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব ও হাই কমিশনার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু’দেশের সরকারের প্রচেষ্টা ও সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাল্টা সফরের ফলে সৃষ্ট গতিময়তা সম্পর্কে একমত প্রকাশ করে ক্রিস্টোফার কুটাযার বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সুবিধাজনক সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মাল্টা ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন।

মাল্টায় বসবাসরত প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ খালেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা সিলিয়া নরবার্ট উপস্থিত ছিলেন।