পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৪৩ পিএম, জানুয়ারী ১৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কি পেলাম, কি পেলাম না সে হিসাব কখনো মেলাই না। কি মর্যাদা পেয়েছি, না পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার কোন চিন্তা নাই। আমার চিন্তা একটাই দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, মানুষকে কি দিতে পারলাম। যে মানুষগুলোর জন্য আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছে। আমার পিতার স্বপ্নকে পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, এর বাইরে আর কোন চিন্তা আমার নেই।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্নটা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন আমার পিতা, সেই স্বপ্ন পূরণ করাটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। যে মানুষটি একটি জাতির জন্য তার জীবন দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার সেই অবদান যেন বৃথা না যায়, লাখো শহীদের রক্ত বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। বাংলাদেশ যেন সফল হয়, সারা বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলে, বাঙালি জাতি যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে- সেই প্রচেষ্টা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে তুলনা (বিশ্ব নেতাদের) করা হয়, তবে বিশ্বের কোথায় কে- আমার মতো আপনজন হারিয়েছে। সেই ছোট বেলা থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়েছে। বার বার বাবা জেলে গেছে, কখনো ঘরে, কখনো জেলে, মা সারাক্ষণ ব্যস্ত।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, স্কুলে কলেজে পড়তে যেয়ে বার বার বাঁধার সন্মুখীন হয়েছি, একটা কলেজে ভর্তি হতে গেলে সরকার যদি বাঁধা দেয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে সে দেশের সরকার যদি বাঁধা দেয় তাহলে আমরা কিসের মধ্যে দিয়ে চলেছি? আমাদের জীবনটা কিভাবে চলেছে, কেউ হয়তো চিন্তাও করতে পারবে না। কিন্ত বিশ্বের যাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাদের কিন্তু এতো ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে চলতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যে দেশ আমার আব্বা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে সেই বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হবে। বাংলাদেশের যে মানুষগুলো দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে বা যারা এক বেলা খেতে পারে না, চিকিৎসা পায় না, শিক্ষা পায় না, তাদের জীবনকে পরিবর্তন করতে হবে, তাদের জীবনকে উন্নত করতে হবে, তাদের জীবনটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়তে হবে।