নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
  • শেয়ার করুন

কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেসব মানুষ বিশেষ করে নারীকর্মী ও অভিবাসী শ্রমিকরা চাকরি হারিয়েছেন তাদের চাকরির সুযোগ করে দিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা। একই সঙ্গে তিনি সার্বজনীন, ন্যায়সঙ্গত, সময়োপযোগী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্যাকসিন সুবিধার ক্ষেত্রেও সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

নারীরা যেন ঘরে বসে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ই-কমার্স ও হোম বেজড কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা ও প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নারী উদ্যোক্তারা সুবিধা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব নেতাদের বৈষম্য বিলোপ, অপুষ্টি ও অসমতা রোধে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা নারীদের কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

সোমবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্যানেল আলোচক হিসেবে জাতিসংঘের ইউএন উইমেন ও ডেনমার্ক সরকার আয়োজিত ‘এ জেন্ডার- স্মার্ট অ্যাপ্রোস টু রিকভারিং ফ্রম কোভিড- ১৯’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের অন্যান্য প্যানেল আলোচকরা হলেন- নাইজেরিয়ার অর্থমন্ত্রী জয়নব এস আহমেদ, জামাইকের অর্থমন্ত্রী নাইজেল ক্লার্ক, ইথিওপিয়ার অর্থ প্রতিমন্ত্রী ইয়াসমিন ওহাব্রেব্বি, মিসরের অর্থমন্ত্রী আহমেদ কউচুক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাও ঝাং এবং বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মমতা মূর্তি।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রবাসফেরত অভিবাসী, বেকার যুবকদের ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, এ মহামারি কাটিয়ে উঠতে শেখ হাসিনার সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি ২১টি উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা দেশের জিডিপির প্রায় ৪.৩ শতাংশ। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। মহামারি চলাকালীন সময়ে ৬ কোটি মানুষকে আর্থিক ও খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, বর্তমানে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতারোধে সরকার ডিএনএ টেস্টিং পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে। ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আইন কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা, নির্বাচিত সংস্থা, এনজিও এবং গণমাধ্যম পরিষেবাসহ দেশের সব পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিজ আমিনা মোহাম্মেদ, ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক মিজ আনিতা ভাটিয়া, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পুমজাইল মামবো ও ডেনমার্কের উন্নয়ন মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মোরটেনসেন।