দেশের প্রতিটি উপজেলায় সেবা সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:৩৮ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।

তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে সকল মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সেবা সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করে তিনি এ ভবন উদ্বোধন করেন। প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অভিগম্য আগামীর পথে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। সে সংবিধানে তিনি প্রতিবন্ধীদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। সংবিধানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা স্পষ্ট লেখা আছে। বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার যে পদক্ষেপ নিয়ে গেছেন তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত উন্নয়নের মূলনীতি অনুযায়ী কেউ পেছনে থাকবে না, সকলে সমানতালে এগিয়ে যাবে। সকল প্রতিবন্ধীকে সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশে অটিজম এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে তিনি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। আগে পোলিও হলে অনেকেই প্রতিবন্ধী হতো। বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা পোলিও ভ্যাকসিন দিয়ে পোলিওমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রতিবন্ধিতা এবং অটিজমে ভুগছেন তাদের ভালোভাবে লেখাপড়া করে যত্ন নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তারা যেন মূলস্রোতের সঙ্গে মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে। বাবা-মাকেও কষ্ট স্বীকার করতে হবে প্রতিবন্ধিতা দূর করার জন্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, একটা প্রতিবন্ধী যেন নিজে চলতে পারে তাকে এ ব্যাপারে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। একলা চলার মতো একজন প্রতিবন্ধীকে ট্রেনিং দিলে তাকে আর পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। উপযুক্ত ট্রেনিং পেলে সে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এ জন্য যে অর্থ এবং সম্পদের প্রয়োজন হয় তার জোগান ফাউন্ডেশন দিতে পারে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সমগ্র বাংলাদেশ থানা পর্যায়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো জায়গা দিয়ে গেছেন। যে জায়গাগুলো অনেক জায়গা প্রোথিত রয়েছে কিছু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা উপজেলা লেভেলে প্রতিবন্ধীদের সেবা দিতে পারব। আমরা বিদেশে দেখেছি যে একজন প্রতিবন্ধীকে এমনভাবে ট্রেনিং করে দেয়া হয় যে সে আর কারও ওপর নির্ভরশীল থাকে না, নিজেই চলতে পারে। আমাদেরও এ ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীরা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নিজেরাই চলতে পারবে।