দীর্ঘদিন পর এক মঞ্চে রওশন-কাদের ও তাদের অনুসারীরা

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, জানুয়ারী ২, ২০২৩
  • শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন পর এক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে দলটির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তারা একসঙ্গে যোগ দেন।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম প্রমুখ।

মান-অভিমান ভুলে দুজন এক মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন একজন। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বক্তব্য দিতে পারেননি জিএম কাদের। বক্তব্য দেন রওশন এরশাদ।

রওশন এরশাদ বলেন, দলের পদ-পদবি নিয়ে যত দ্বন্দ্বই থাকুক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সেসব দ্বন্দ্ব বা মান-অভিমান ভুলে দলকে একতাবদ্ধ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, চলার পথে মান-অভিমান থাকবেই৷ কিন্তু দলের স্বার্থে সব ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতীয় পার্টি একটা পরিবার, দলের প্রতিটি নেতাকর্মী সেই পরিবারের সদস্য। দলের যেকোনো সংকট ও সমস্যা জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

‘জাতীয় পার্টি সংবিধান মোতাবেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে’ উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে হবে, তৃণমূলেও জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করলে মান-অভিমান কমে যাবে। আমরা যদি মিলেমিশে থাকি, ঐক্যবদ্ধ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তাহলে জাতীয় পার্টি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ৷ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি মঞ্চে আসেন। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পাশের আসনেই বসেন তিনি। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সালমা ইসলাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, সাহিদুর রহমান টেপা, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ।