জনগণের কষ্টার্জিত অর্থকে খেলাপি হতে দেব না: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৪৬ পিএম, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘জনগণের কষ্টার্জিত অর্থকে আমরা খেলাপি হতে দেব না। খেলাপি ঋণ অবশ্যই আদায় করা হবে।’ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত জুন পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এসব ঋণের মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি এক লাখ ৬ হাজার ৫৫ কোটি টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা।

বিএনপির সংসদ সদস্য বেগম রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা যখন থেকে চালু হয়েছে, তখন থেকেই এই ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি। বিএনপি আমলে যে পরিমাণ ঋণ খেলাপি ছিল, তা থেকে আমরা অনেক কমিয়ে এনেছি। তবে কোন ঋণ খেলাপি থাকা উচিত নয়।

একই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান বিও একাউন্টধারীদের মধ্যে সকল বিনিয়োগকারী একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন করে না। কিছু সংখ্যাক বিনিয়োগকারী প্রায়শই লেনদেন করেন, কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী স্বল্প ও দীর্ঘ বিরতির পর লেনদেন করেন।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্যের উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, এর ফলে বিনিয়োগকারীগণ স্বাভাবিক নিয়মেই লাভ-লোকসান করতে পারে।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, খেলাপী ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অর্থ ঋণ আদালত আইন-২০০৩ প্রণয়ন করেছে। এ আইনের আলোকে খেলাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২০১৮ সালের পহেলা জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ১৬ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির পীর ফজলুল রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার রোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিদেশ হতে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ পাচার বিষয়ক ৪০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কর্ফোস অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে।