চলমান পরিস্থিতিতে কেউ কষ্ট করুক এটা আমি চাই নাঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, এপ্রিল ৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেউ কষ্ট করুক এটা আমি চাই না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, করোনার কারণে কেউ যাতে কষ্ট না করে তার জন্য ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা দুশ্চিন্তায় আছেন আমরা তাদের জন্যই এ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। কেউ কষ্ট করুক সেটা আমি চাই না। সকলের কষ্ট লাঘব হোক এটাই আমি চাই। এই প্রণোদনার সুফল সবাই পাবেন। শুধু চাই আপনারা যেন সততার সঙ্গে কাজ করেন। এই সুযোগ কেউ কাজে লাগাবেন না। আমরা যদি সঠিক ভাবে কাজ করি তাহলে কোনো অসুবিধায় পড়ব না।

আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই ভাইরাসের কারণে আমার দেশের শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে কোনো মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে তার জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজ।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চার কার্যক্রম হলো- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা: সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকে’ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণ এবং বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা হবে। ঋণের স্থিতি-জিডিপি’র অনুপাত অত্যন্ত কম (৩৪ শতাংশ) বিধায় অধিকতর সরকারি ব্যয় সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না; আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ: ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য; সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হলো: বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, ‘বয়স্ক ভাতা’ এবং ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের জন্য ভাতা’ কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি; মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা : অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সিআরআর এবং রেপোর হার কমিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা আগামীতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন মুদ্রা সরবরাহজনিত কারণে মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।