আগামী নির্বাচনে আ’লীগের পুরনো প্রার্থীদের অনেকেরই বাদ পড়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: ৫:২০ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
  • শেয়ার করুন

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুরনো প্রার্থীদের অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। এই তালিকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দুর্নীতি, স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, দলে অনুপ্রবেশকারী এবং দলে বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন অনেকেই রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনেও তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন আনা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্রবিশেষে আমরা অবশ্যই যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে কার নেই। কে ভোট পাবেন, কে পাবেন না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভোট পেলে প্রার্থী জিতবে কিনা- সবকিছু বিবেচনা করে নমিনেশন দেওয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে। সময় যত যাবে ততই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

গত পরশু তার ইঙ্গিতও মিলেছে। বরিশালের এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনেও গতবারের প্রার্থীদের অন্তত ৩২ জন বাদ পড়েছেন। বাকি যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাদের পারফরমেন্স, দলের প্রতি আনুগত্য এবং বয়স বিবেচনায় আনা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সংসদ নির্বাচনেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যারা নমিনেশন পেয়েছিলেন তাদের অর্ধেকেরও বেশি বাদ পড়তে পারেন। এমনকি এমপির সন্তান বা স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা ভবিষ্যতে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন কিংবা মনোনয়ন পাবেন, সে রকম সম্ভাবণাও কমে যাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ে ২০টির মতো উপনির্বাচন হয়েছে। তাতে পুরনো প্রার্থীদের পরিবার থেকে মাত্র দুজন নমিনেশন পেয়েছেন। বাকি ১৮ জনই ছিলেন নতুন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তার আলোকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলে প্রধানমন্ত্রী শেষ ভরসা। সাধারণত তার সিদ্ধান্তের ওপর কেউ কথা বলেন না। যেহেতু তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন, ফলে দলের মধ্যে অনেকেই এখন নড়েচড়ে বসবেন এমনটাই ধারণা।