হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪০০

প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, অক্টোবর ১২, ২০২৩
  • শেয়ার করুন

ইতিহাসের ভয়ানক হামলার শিকার হয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলিরা। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাজেহাল করে দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলার পরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় প্রাণ হারাচ্ছে বহু সাধারণ মানুষ।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আরও প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান হতাহতের কারণে গাজাজুড়ে হাসপাতালগুলোতে লাশ রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।

অপরদিকে সবশেষ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহতের খবর পাওয়া হেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

মূলত আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, মুসল্লিদের মারধর, বয়স্ক ও যুবকদের মসজিদ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার দৃশ্য হামাসের ক্ষোভ আরও উস্কে দিয়েছে।

হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ইসরায়েলের নৃশংস অভিযানের পর থেকেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল হামাস। এই হামলার ফলস্বরূপ ইসরায়েলের ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার আহত হলো।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বিধ্বংসী বোমা হামলা অব্যাহত থাকায় গাজায় তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ঘনবসতিপূর্ণ এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। ইসরায়েলের হামলা ক্রমশ মরিয়া হয়ে উঠছে এবং এই পরিস্থিতিতে গাজার ফিলিস্তিনিদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।