
এখন কারাগারে বসে ফেসবুক চালাচ্ছেন সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফারুক খান। আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। যদিও এই পোস্ট করার আধা ঘণ্টার মাথায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিটি ডিঅ্যাকটিভ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন তিনি।
এদিকে ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে এসেছি। জেলের চার দেয়াল আমাদের নিজ সত্তার সামনে দাঁড়া করায়। অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু এখন সবই বলতে পারছি না। এতটুকুই বলবো শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম কিন্তু আজকে তার হঠকারিতার জন্যেই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতিত কোনো ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
এদিকে, কারাগারে থেকে কীভাবে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করতে পারলেন এ নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা। কেউ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিটি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সংসদ বাতিল হলে অন্যদের মতো সংসদ সদস্য পদ হারান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফারুক খানও। বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ফারুক খানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।