এবার জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক। ঘটনার পর স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে সিরাজুল হক জেলা কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীনসহ একদল অনুসারী নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। একপর্যায়ে তিনি প্রকাশ্যে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং দলীয় নেতাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল হক দাবি করেন, ভাড়া চাইতে গেলে আমার ছেলে বাবুকে মারধর করেছে। আমাকে মারতে আসছে। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছি। আমি খালি হাতে যাব কেন? ওরা আমার বড় ছেলেকে মেরেছে। আমার বাবার জমি দখল করে পার্টি অফিস করেছে। এক কোটি বিশ লাখ টাকা ভাড়া বাকি আছে, ভাড়া দেয় না।
ঘটনার পর সিরাজুল হক বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করলেও রহস্যজনক কারণে বেলা সাড়ে ১১টায় তা বাতিল করেন। প্রসঙ্গত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ছিলেন এবং ১৯৯১ সালে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
