‘ট্রাম্পের শপথের আমন্ত্রণ পেতে ৩-৪ বার চেষ্টা চালান মোদি!’

প্রকাশিত: ৩:১৫ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
  • শেয়ার করুন

এবার লোকসভায় উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেদিকে একদমই তোয়াক্কা করলেন না বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। এবার মোদির সামনেই তাকে ‘ব্যর্থ’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল। সোমবার ভারতের লোকসভায় প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী। সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দেশের কর্মসংস্থানসহ একাধিক বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

এদিকে তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের তুলনায় যেকোনো বিষয়ে চীন অন্তত ১০ বছর এগিয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাহুল বলেন, ”আসলে আমরা দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছি। যার সুফল নিয়েছে চীন। আমরা চীনা ফোন ব্যবহার করি, বাংলাদেশি জামা পরি, যার সব লাভের অর্থ নিয়ে যাচ্ছে চীন। আমাদের তুলনায় যে কোনো বিষয়ে চীন অন্তত ১০ বছর এগিয়ে’।”

তার এমন মন্তব্যের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। তবে রাহুল গান্ধী এদিন ছিলেন নিজের ছন্দে। বিজেপির প্রতিবাদও তাকে দমাতে পারেনি। রাহুল তার বক্তব্যে দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে তিন থেকে চারবার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন মোদি।

রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ নিশ্চিত করতে কাউকে পাঠাতাম না। আমরা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৩-৪ বার পাঠিয়ে বলতাম না, দয়া করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। যদি আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থা থাকত এবং এসব প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কাজ করতাম তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমাদের এখানে আসত এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতো।”

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরবর্তীতে এক্সে একটি পোস্টে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জানান, রাহুল গান্ধী মিথ্যাচার করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তখন কোনো মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে কথা হয়নি।

এদিকে শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদি নয়, রাষ্ট্রপতির ভাষণেরও তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল। তার মতে, রাষ্ট্রপতির ভাষণ সরকার কি কি করেছে তার একটি লন্ড্রির তালিকা। রাহুল গান্ধীর এসব মন্তব্যের পরই পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তিনি বলেন, দেশের পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে যুক্ত এজাতীয় অপ্রমাণিত বিবৃতি কোনও দায়িত্ববান সাংসদ দিতে পারেন না। এমন মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানান তিনি। তবে রাহুল গান্ধীর এই ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তার মতে একজন নেতার ভাষণ এমনই হওয়া উচিৎ।