জনগণের ম্যান্ডেটই হবে কোনো দলের ক্ষমতায় আসার একমাত্র অবলম্বন: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশিত: ৭:২৭ পিএম, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

এবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সবুজ ভূইয়া বলেছেন, কোনো বহিরাগত শক্তির আশীর্বাদ নয়, বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেটই হবে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারের ক্ষমতায় আসার একমাত্র অবলম্বন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভেতরে-বাইরে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে একটি সংস্কৃতি চালু হয়েছে যে ভারতের আশীর্বাদ ছাড়া ক্ষমতায় আসা যাবে না। এটা এ দেশের জন্য দুঃখজনক। আপনারা যদি মনে করেন ভারতের আশীর্বাদ ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় আসা যায় না, তাহলে বলতে হয় শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি এ দেশের কারও ভারতের আনুগত্য ছিল না, সেই শেখ হাসিনার কী পরিণতি বাংলাদেশের মানুষ করেছে আপনারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। আপনারা যদি ভবিষ্যতে সে ধরনের পরিণতি দেখতে না চান বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেটকে একমাত্র ক্ষমতায় আসার উপায় হিসেবে অবলম্বন করুন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডিআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুরাদনগর উপজেলাবাসীর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক রক্তপাতের পর আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছি। এই স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। অনেকেই শহীদ হয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন। তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে। যে নতুন বাংলাদেশের কথা আমরা বলি সেই নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার কিছু দায়িত্ব আছে। সবাইকে যার যার দায়িত্ব তাকে পালন করতে হবে। ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মুরাদনগরে ইতোমধ্যেই ২০টির অধিক উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় উন্নয়ন হতো। এখন থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে সমানভাবে উন্নয়ন হবে। উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখা হবে না।

কুমিল্লা বিভাগ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সময় স্বৈরাচার হাসিনা বলেছিল কুমিল্লা বিভাগ কুমিল্লা নামে হবে না। আমরা এখন বলতে চাই, এখানে কোনো বিভাগ হলে কুমিল্লা নামেই হবে। এটা করার জন্য যা প্রয়োজন সব করা হবে। সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হবে।