গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় কেউ বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছে না: রিজভী

প্রকাশিত: ৫:৪৬ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
  • শেয়ার করুন

এবার সংস্কারের নামে জনগণের চোখে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কারের পক্ষে। তবে, এর আগে গণতন্ত্রকে মজবুত করা জরুরি।’ আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে জনগণের শক্তি, জনগণের ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। কে সংগঠন তৈরি করবে, কে দল তৈরি করবে এটা সরকারের বিষয় নয়।’ দেশে এই মূহূর্তে একটি গণতান্ত্রিক সরকার জরুরি বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। ফলে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। রিজার্ভ আবার কমতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এমনকি দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই বলেই বাণিজ্য খাতে কেউ বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছে না। দেশে বিদেশে সবাই এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এই অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্যই একটি জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সরকার দরকার।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১৯ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে; এটা অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। গ্যাসের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর ফলে সীমিত ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর ভয়ংকর চাপ পড়বে।’ রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সাপোর্ট দিই। কিন্তু সরকারকেও মনে রাখতে হবে তাদের কোনো সিদ্ধান্তই যেন গরিব মানুষ মারার সিদ্ধান্ত না হয়।’

তিনি বলেন, ‘এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বাড়ছে। সরকার চালের দাম কমাতে পারেনি। তার মধ্যে যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে এটা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া কিছুই নয়।’ বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরা গণ-আন্দোলনে সেই ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক কিছু করার আছে। প্রথমেই জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, গত ১৬-১৭ বছর ধরে দেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।’