
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ সংসদে ‘খেলা’ বন্ধের দাবি তুললে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘খেলা’ হবে। বিএনপির শাসনামলে জিরো উন্নতি এবং তাদের অগ্নি সন্ত্রাস ও খুনের বিরুদ্ধে ‘খেলা’ হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ সব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এ সংসদ সদস্য বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী প্রায়ই বলছেন, খেলা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। আমরা এমন খেলা দেখতে চাচ্ছি না যে, জনদুর্ভোগে মানুষ পড়েন। এ দেশে দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ এগুলো নিয়ে গত কয়েক মাস যাবত মানুষ সভা সমাবেশ করছে। আপনি কেন পরিবহন বন্ধ করছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘কী কারণে পরিবহন বন্ধ হয়েছে বলতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, দেশ চালাচ্ছেন কেন আপনারা? একটা নয়, দুটো নয়, একের পর এক। আগামী ৫ তারিখে বরিশালে সমাবেশ হবে। লঞ্চ বন্ধ, বাস বন্ধ, থ্রি-হুইলার বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। সবকিছু বন্ধ। এর ফলশ্রুতিতে যে জন-অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তা কল্পনা করা যায় না। যোগাযোগমন্ত্রী আছেন, দয়া করে দুর্ভোগ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন। জনদুর্ভোগ আর বাড়িয়েন না। জনদুর্ভোগে যে জনঅসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তাতে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে।
জবাবে কাদের ‘খেলা’ অব্যাহত থাকবে বলে কড়া জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিরোধী দল হলেই বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা কালচারে পরিণত হয়েছে। গাজীপুরের যে প্রকল্প— পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, মেট্রোরেল সামনে হচ্ছে। এলিভেটেড এগিয়ে গেছে। কর্ণফুলী টানেল রেডি। কী চান আর? একটা সরকার এতগুলো প্রজেক্ট— যেদিকে তাকান ফ্লাইওভার, আন্ডার পাস ওভার পাস। আপনাদের সময় কী ছিল? জিরো। ওই জিরোর বিরুদ্ধে খেলা হবে। ওই জিরো যে করছেন! ভোগান্তিতে রাখছেন— লাখো কোটি মানুষকে। সেটিই খেলা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,আমি বলছি, খেলা হবে খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে।