
এবার সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। যদি এর নিচে চালানো হয় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, এসি চালানোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় এবার গ্রীষ্ম বা গরমের মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরও গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সময়ে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি বা লোডশেডিং হয়েছিল। উৎপাদন উঠেছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কিছুটা বেশি।
২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গিয়েছিল। অবশ্য এটা সাময়িক হিসাব; অধিকাংশ সময় উৎপাদন ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াটের আশপাশে।গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন রোজার মাস ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
সভাশেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, রোজার মাস লোডশেডিং মুক্ত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টেকনিক্যাল কারণ ছাড়া লোডশেডিং যাতে না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোজায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে চাহিদা থাকবে। আমরা পুরোপুরি সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছি।’