সংসদীয় কমিটির সভাপতি মন্ত্রীদের মতো গাড়ি ও চালক চান

প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, মার্চ ৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মতো সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে গাড়ি, ড্রাইভার ও জ্বালানি চেয়ে সুপারিশ করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান। তবে এ সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন অন্যান্য কমিটির কয়েকজন সভাপতি।

বুধবার (৫ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ সুপারিশ করেন তিনি।

বৈঠকে শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ‘সংসদীয় কমিটিগুলো কিন্তু সরকারের ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু তারা সংসদে অফিস ও আপ্যায়ন ভাতা ছাড়া আর কিছু পান না। এ জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে গাড়ি, ড্রাইভারের সঙ্গে জ্বালানি ও এনটাইটেলমেন্ট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।’

এ সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

তিনি গণমাধ্যমকে আরো বলেন, ‘সংসদীয় কমিটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে না। এ ধরনের সুপারিশ শুধু তার জন্য নয়, সব সংসদীয় কমিটির সভাপতির জন্য এটি পরিষ্কার করা উচিত।’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংসদীয় কমিটির এক সভাপতি বলেন, ‘এ ধরনের সুপারিশ করার আগে সব কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।’

প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য (পারিতোষিক ও ভাতাদি) আদেশ, ১৯৭৩ (মে ২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী, একজন এমপি সংসদীয় কমিটিতে উপস্থিত থাকলে যাতায়াত বাবদ কিলোমিটার (সড়ক পথে) প্রতি ১০ টাকা করে পান। এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার সময় যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয় সেই ঠিকানা অনুযায়ী তারা যাতায়াত ভাড়া পান। যে এলাকা থেকে তিনি নির্বাচিত হন, সেই এলাকার ঠিকানা শপথের সময় ব্যবহার করা হয়। এছাড়া প্রতি বৈঠকে উপস্থিতির জন্য ১০০০ টাকা পান। এমনকি সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা সরকারি কার্যালয় ও অফিস খরচ পেয়ে থাকেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি জট নিরসনে শীঘ্রই সুপারনিউমারি পদ সৃজন করে পদোন্নতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম, ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, দীপংকর তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ এবং মোকাব্বির খান বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।