পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও দিল্লি সফরে যাচ্ছেন না

প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, জানুয়ারী ১১, ২০২০
  • শেয়ার করুন

সোমবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘রাইসিনা আলোচনা’। এই সংলাপে অন্যতম বক্তা হিসেবে প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনকে আমন্ত্রণ জানায় ভারত।

তিনি যেতে পারবেন না জানানোর পর নিমন্ত্রণ করা হয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও যাচ্ছেন না। তার পরিবর্তে পররাষ্ট্র সচিব বা অন্য কোনো কর্তাকে ঢাকা পাঠাবে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, কূটনৈতিক শিবির বলছে, ২০০৯ সালে ভোটে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এমন তিক্ততা দেখা যায়নি। তিস্তা ও নানা বিষয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু উপর্যুপরি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চার চার বার বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং কর্তার ভারত সফর বাতিলের ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি সাউথ ব্লক। সূত্রের খবর, ভারতের তরফ থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালানো হবে শাহরিয়ার না আসুন, রাইসিনা আলোচনা যাতে বাংলাদেশ-শূন্য না থাকে তা নিশ্চিত করা।

আনন্দবাজার জানায়, কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে যে মন কষাকষি চলছিল তাতে ঘৃতাহুতি হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইন পাস করার বিষয়টি। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে এক বন্ধনীতে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বার বার সে সব দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের উল্লেখ, রোহিঙ্গার পর ফের ভারত থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী যাওয়ার আশঙ্কা, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কলকাতা সফরে কেন্দ্রের কোনো প্রতিনিধির উপস্থিত না থাকা— সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার ঢেউ তৈরি হয়েছে। যার জেরে সম্প্রতি তিন তিন জন বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং সরকারি প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর বাতিল করে দিয়েছিলেন ঢাকা নেতৃত্ব।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, পরে সম্পর্ক কিছুটা সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বছরের প্রথম দিন ফোন করেন শেখ হাসিনাকে। দুই নেতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পাশাপাশি আগামী ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হতে চলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন মোদী। কিন্তু তাতে যে চিঁড়ে ভিজছে না, সেটা স্পষ্ট।