পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ২৬তম স্প্যান। এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৩ হাজার ৯০০ মিটার (৩.৯ কিলোমিটার) দৃশ্যমান হলো। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সফলভাবেই স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়েছে। আর ১৫টি স্প্যান বসিয়ে ২.২৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান বাকি পদ্মাসেতুতে।
আজ মঙ্গলবার সকাল (১০ মার্চ) ৯টা ৫ মিনিটে স্প্যানটি দুই পিলারের ওপর বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতুতে বসানো হয় ২৫তম স্প্যান। ১৯ দিনের মাথায় বসলো ২৬তম স্প্যান। পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি ক্রেনে করে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেয়। দুপুর ২টার দিকে জাজিরা প্রান্তের ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় স্প্যানটি। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ভোরে স্প্যানটি পিলারের ওপর ওঠানোর কাজ শুরু করেন সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সকাল ৯টা ৫ মিনিটের সময় স্প্যানটি পুরোপুরি বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২১তম স্প্যান, ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২২তম স্প্যান। ২ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৩তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান। আর ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫তম স্প্যান বসানো হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে পদ্মা সেতুতে সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসে বসেছে দুটি স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বসেছে তিনটি স্প্যান।
পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। প্রতিটি পিলারে রাখা হয়েছে ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যানগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।