তাপসের আসনে নৌকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী শফিউল

প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
  • শেয়ার করুন

ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। কিন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে সেদিনই নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। তাপসের ছেড়ে দেয়া আসনে উপ-নির্বাচন হবে আগামী ২১ মার্চ।

জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া তিনটি আসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য আগ্রহীদের কাছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগ। গত রবিবার থেকে আগ্রহীদের কাছে দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ, যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের জন্য শফিউল ইসলামসহ দুইজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

আগামী শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে ঢাকা-১০ আসনে ব্যবসায়ী শফিউলই নৌকার টিকিট পাবেন বলে দলটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শফিউল ইসলামকে মনোনয়নের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ঢাকা-১০ আসনে দলের মনোনয়নের বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলামকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তাকে দলের হয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দলের দুই প্রার্থীর পক্ষে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে ছিলেন। ওইটা ছিলো রাজনীতির মাঠের ওয়ার্মআপ। বিশেষ কোন কারণ না ঘটলে ঢাকা-১০ আসনে তিনিই হবেন তাপসের উত্তরসূরী।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘কারা কারা দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবে সেটাতো আমরা জানি না। সুতরাং এটা নিয়ে এখন আমরা কিছুই বলতে পারি না।’

ফারুক খান আরও বলেন, ‘যখনই কোনো নির্বাচনে আমরা আমাদের প্রার্থী নির্ধারণ করি, তখন তিনটি জিনিসই আমরা দেখি। প্রথমে দেখি প্রার্থীর দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, তারপর দেখি প্রার্থীর এমপি হবার সক্ষমতা রয়েছে কিনা এবং সর্বশেষ হলো এলাকায় জনপ্রিয়তা। একই সঙ্গে আমরা দেখবো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কিনা। এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’