জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি বলেই এগিয়ে যাচ্ছিঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:০২ পিএম, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

এদেশের মানুষ আর কখনো কারো কাছে মাথা নত করবে না, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর মানুষ উপলব্ধি করল সরকার জনগণের সেবক হতে পারে, জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা আবার সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখি।’

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে কেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছি বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভিক্ষুক জাতি হিসেবে আমরা থাকতে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।’

তিনি জানান, ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। এখন ৯৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে, মুজিব বর্ষেই দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করবো। জাতির পিতার আদর্শ অনুযায়ী আমরা দেশ চালাবো। এই দেশের মানুষ আর কখনও মাথা নত করে চলবে না। মাথা উঁচু করে চলবে।’

নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সেবাই আওয়ামী লীগের কাজ। করোনাকালেও আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষে পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী মারাও গেছেন। এ সময় তিনি মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির প্রধান বলেন, ‘সংগঠনটাকে শক্তিশালী করতে হবে। পঁচাত্তরের পর যে নামটি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজ আপনারা জানেন ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মুজিব বর্ষে এটা বাঙালি জাতির জন্য বড় উপহার।’

করোনা নামক বন্দিত্ব থেকে বিশ্ববাসী মুক্তি পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশেও ভ্যাকসিন আসার ব্যবস্থা হয়েছে। ইতিমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনও হয়েছে। তারপরও সবচেয়ে বড় সুরক্ষা মাস্ক, হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা। ঘোরাঘুরি কম করা। আপনারা সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে চলবেন। আপনাদের সুস্থ থাকা সংগঠন ও দেশের মানুষের জন্য জরুরি।’