মাননীয় এমপি বীরেন শিকদার 'র বিস্তারিত খবরাখবর

জীবন বৃত্তান্ত

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলার ও মাগুরা সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত মাগুরা-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বীরেন শিকদার-এর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৬ অক্টোবর শালিখা উপজেলার সিংড়া গ্রামে। পিতার নাম মৃত বিহারী লাল শিকদার এবং মাতা শ্রীমতি সরস্বতী শিকদার। পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। বীরেন শিকদার ঝিনাইদহ জেলার হাটবার বাজার হাইস্কুল হতে এসএসসি, মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ হতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শ্রী শিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। ছাত্রজীবন থেকেই বীরেন শিকদার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৬৮-৬৯ সালে বৃহত্তর যশোর জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ’৬৯ সালের গণআন্দোলনে তিনি ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, বৃহত্তর যশোর এর আহবায়ক ছিলেন। ’৭১ সালে তিনি মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বীরেন শিকদার ১৯৮৫ সালে শালিখা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় বহু উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন। ওই সময় তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সম্মানিত সদস্য। অনেক জনহিতকর কাজেই বীরেন শিকদার অংশ গ্রহণ রয়েছে। তিনি তাঁর নিজ গ্রাম শালিখার সিংড়ায় তাঁর মায়ের নামে সরস্বতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিতার নামে বিহারীলাল শিকদার ডিগ্রি কলেজ এবং আরমাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া এলাকায় বহু রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সংস্কার কাজে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। স্ত্রী শ্রীমতি শান্তিলতা বিশ্বাস শিক্ষিতা এবং গৃহবধু। এ পরিবারের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে অমিতাভ শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসন ইনসিটিউট হতে এমবিএ পাস করেছেন। মেয়ে বিউটি শিকদার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত। চাকুরি করছেন। শ্রী শিকদার জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল, ভূটান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে কম্বোডিয়া সফর করেন। জনগনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে ধীরেন শিকদার আত্মনিবেধীত। সচ্চরিত্রের অধিকারী হয়ে যোগ্য নাগরিকরূপে নিজেদের গড়ে তুলে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগের জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের উপদেশ দেন। একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক ও সমাজনেতা হিসেবে দেশে বিদেশে বীরেন শিকদার বিশেষভাবে সমাদৃত।