মাননীয় এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল 'র বিস্তারিত খবরাখবর

ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল

ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল

সামাজিক মাধ্যমে এমপি

নির্বাচনী এলাকা :নেত্রকোনা-৫ ( পূর্বধলা উপজেলা )

জন্ম সাল:

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

লিঙ্গ : পুরুষ

পেশা: রাজনীতিবিদ

জীবন বৃত্তান্ত

ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের জন্ম নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মহিউদ্দিন তালুকদার এবং মায়ের নাম আশরাফুন নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম রওশন হোসেন। তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ১৯৭১ সালে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি মাকে চিঠি লিখে কাউকে না জানিয়ে ভারতে চলে যান। তুরায় প্রশিক্ষণ নেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের ঢালু ও মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের জুন মাসে ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত জেলা সদরের উত্তরের হালুয়াঘাট এলাকায় ছিলো সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি)। এই বিওপিতে ছিল একদল পাকিস্তানি সেনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছিলো এ বিওপির অবস্থান। তারা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত। জুন মাসের একদিন মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি দল সেখানে আক্রমণ করে। একটি দলে ছিলেন ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। তাঁর বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার (বীর প্রতীক) ছিলেন দলনেতা। জুন মাসের এক রাতের অন্ধকারে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে যেতে থাকলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের দিকে। তাঁদের পথ দেখাচ্ছিলেন একজন পথপ্রদর্শক। তাঁর ভুল নির্দেশনায় তাঁরা ঢুকে পড়লেন বিপজ্জনক এক স্থানে। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ চালায়। প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা পজিশন নিলেন। একই সময়ে শুরু হলো ভারত থেকে গোলাবর্ষণ। সেগুলো তাঁদের অবস্থানেই পড়তে থাকল। নিমেষে মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজন হতাহত হলেন। ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তাঁর প্রচেষ্টায় বেঁচে গেল অনেক মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতের অন্ধকারে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালরা সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে যাওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এ দলটি আক্রমণ শুরু করার আগে সেখানে ভারত থেকে আর্টিলারি গোলাবর্ষণের। গোলাবর্ষণ শেষ হওয়া মাত্র তাঁরা আক্রমণ শুরু করবেন। কিন্তু পথপ্রদর্শকের ভুলে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের একদম কাছে চলে যান। নিজেদের গোলায় এবং পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তখনই শহীদ হন। ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের পাশেই ছিলেন তাঁদের দলের একজন এলএমজিম্যান। তিনি তাঁর চোখের সামনেই শহীদ হন। জীবন-মৃত্যুর ওই সন্ধিক্ষণে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বেঁচে যায় অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ। তিনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এমপি প্রতিনিধি